ডিপ্রেশন নিয়ে কিছু বিস্ময়কর তথ্য

মানসিক রোগ - ডিপ্রেশন এবারের স্বাস্থ্য দিবসের প্রতিপাদ্য ছিলো। মানসিক রোগ হিসেবে ডিপ্রেশন এখন এক নাম্বারে আছে। প্রতি ঘরে ঘরে ডিপ্রেশন, জনে জনে ডিপ্রেশন।

ডিপ্রেশনে দুইটা সিম্পটম থাকবেই -

1. marked loss interest to sorroundings.
2. depressed mood most of the day near everyday ..

এছাড়াও Sleep disorder, Guilty feeling, Energy deficit, Concentration deficit, appetite disorder and suicidal tendency ... সাথে থাকতে পারে।

সবচেয়ে বড় সমস্যা হলো এই সুইসাইড করার মানসিকতা। এই সুইসাইড নিয়া একটু জানা দরকার।

বলা হয়ে থাকে সুইসাইড হলো 15-24 বছরের মানুষের মৃত্যুর তৃতীয় প্রধান কারন এবং 24-35 বছরের মানুষের মৃত্যুর দ্বিতীয় প্রধান কারন। পৃথিবীতে প্রতি 16 মিনিটে একজন মানুষ সুইসাইড করে এই ডিপ্রেশনের জন্য।

একটা সুইসাইড আশেপাশের কমপক্ষে ছয় মানুষ কে মানসিক ভাবে বিপর্যস্ত অথবা মানসিক মানসিক রোগী বানিয়ে দিয়ে যায়। সুতরাং একে মহামারী বললেও ভুল হবে না।
সারা পৃথিবীতে যত মানুষ সুইসাইড করে তারচেয়ে কমপক্ষে 25 গুন মানুষ সুইসাইডের ট্রাই করে কমপক্ষে একবার।

বলা হয়ে থাকে - দুনিয়ায় যত সংখ্যক মানুষ HIV/AIDS এ মারা যায়, তার চেয়েও দ্বিগুণ লোক সুইসাইডে মারা যায়।

মেয়েরা ছেলেদের চেয়ে বেশি সুইসাইডের কথা চিন্তা করে। । কিন্তু কাজে লাগায় না। বরং ছেলেরা চিন্তা করেই কাজে লাগাই দেয়।। সমীক্ষায় দেখা গেছে- সুইসাইড ডেথের মধ্যে পুরুষ 80%, মেয়ে মাত্র 20% ..

এশিয়ার দিকে সুইসাইডের জন্য প্রধান অস্ত্র হলো রশি ও ফ্যান অথবা বিষ খাওয়া। । কিন্তু বহির্বিশ্বে 50% এর বেশি মানুষ সুইসাইড করে মাথায় গুলি করে।

আমেরিকার নিউ ইয়র্ক শহরে সুইসাইডের ট্রাই করলে শাস্তি হলো - মৃত্যুদন্ড।

বসন্ত কালে সবচেয়ে মানুষ সুইসাইড করে থাকে। কারন কি হতে পারে??

সুইসাইড করার অভ্যাস জেনেটিক হতে পারে। যেমন- বিখ্যাত লেখক এবং নোবেলজয়ী "The oldman and the sea" এর লেখক "Ernest Hemingway" নিজে সহ তার পরিবারের 12 জনের মধ্যে 11 জনই সুইসাইড করে মারা যান। মেজর ডিপ্রেশন ছিল তাদের পরিবারে।

পৃথিবীতে সবচেয়ে বেশী সুইসাইডের হার হলো গায়ানা দেশে। সেখানে প্রতি দশ হাজার মানুষের মধ্যে প্রায় 45 জন মারা যায় সুইসাইড করে, সবচেয়ে কম সৌদি আরবে, মাত্র 0.4 জন।

বাংলাদেশ পৃথিবীর 94 তম সুইসাইড রিস্ক কান্ট্রি। প্রতি দশ হাজারে প্রায় 7 জন মারা যায় ডিপ্রেশন সুইসাইড করে।

একা থাকা মানুষ গুলোর মধ্যে সুইসাইড করার প্রবনতা বেশি। তাই আসেন সামাজিক হই এবং ডিপ্রেশনমুক্ত জীবন গড়ি।


লিখেছেন- ডাঃ সাঈদ সুজন

Post a Comment

Previous Post Next Post