জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউট- ১ লাখ ৪০ হাজার টাকা।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতাল - ১ লাখ ৪০ হাজার টাকা।
ইব্রাহিম কার্ডিয়াক হাসপাতাল - ১ লাখ ২০ হাজার টাকা।
ল্যাব এইড হাসপাতাল - ১ লাখ ৭০ হাজার টাকা। মানে আমদানি মুল্যের চেয়ে প্রায় ১০ গুন!
উল্লেখ্য যে, উপরের সবগুলো হাসপাতালেই Xience PRIME রিংটি সরবারহ করে কার্ডিয়াক কেয়ার নামের একটি প্রতিষ্ঠান।
এখন প্রশ্ন হল, একই পণ্য, একই উৎপাদনকারী ও সবারহকারী প্রতিষ্ঠান তাহলে বিভিন্ন হাসপাতালের দামের মধ্যে এত বিশাল পার্থক্য কেন? একটি পন্যের আমদানি মুল্য ১৮ হাজার টাকা হলে কিভাবে সেটা ১ লাখ ৭০ হাজার টাকায় বিক্রি হয়?
প্রাইভেট হাসপাতালগুলোতে সেবার মান ও মুল্য সরকারি হাসপাতালের চেয়ে বেশি হবে, এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু সেটা কত বেশি? তারা অনেক অজুহাতে খরচ দেখাতে পারে কিন্তু সরকার নির্ধারিত কোন পন্যের দাম বেশি রাখতে পারে না। সরকার নির্ধারিত ৪ টাকার একটা ওমেপ্রাজলের দাম বাংলাদেশের সব হাসপাতালেই এক। এজন্যেই হার্টের রিংসহ সব ধরনের মেডিকেল ডিভাইসের মুল্য নির্ধারন করে দেয়াটা এত জরুরি। কোন হাসপাতাল যদি নির্ধারিত খুচরো মুল্যের চেয়ে বেশি রাখে রুগি তখন খুব সহজেই ভোক্তা অধিকার আইনে সেই হাসপাতালের বিরুদ্ধে মামলা করতে পারবে। সুতরাং ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তরের কাছে আকুল আবেদন, আপনারা জরুরি ভিত্তিতে সব ধরনের হার্টের রিংয়ের খুচরা বিক্রয় মুল্য নির্ধারন করে দিন। বাকি কাজ আমরা নিজেরাই করে নিতে পারব।
অবৈধ হার্টের রিং ব্যবসার নিউক্লিয়াস হয়ে যে কয়েকজন ইন্টারভেনশন কার্ডিওলজিস্ট বছরের পর বছর ধরে এই বিশাল আকারের দুর্নীতি করে যাচ্ছেন, তাদের শরীরে বিবেক, লজ্জা, বিব্রতভাব, ইত্যাদি কোন কিছুই আর অবশিষ্ট নেই। তাদের আছে শুধু অগাধ পরিমাণ টাকা আর এই ব্যবসাটাকে টিকিয়ে রাখার আপ্রাণ চেষ্টা। একমাত্র আইন প্রয়োগ করেই এদের লাগাম টেনে ধরতে হবে। প্রাইভেট হাসপাতালগুলো না হয় বিশাল ক্ষমতাধর, মিডিয়াগুলো সবই তাদের কেনা, তবে জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউট এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালের প্রশাসন বিষয়টি নিয়ে এত সমালোচনা হবার পরও কেন নুন্যতম কোন ব্যবস্থা নিচ্ছেন না? কোন ক্ষমতা বলে হার্টের রিং সাপ্লাইয়ারদের এজেন্টরা এখনো নির্লজ্জের মত ক্যাথল্যাবের মত একটা সংবেদনশীল স্থানে পন্যের পসরা সাজিয়ে বসে থাকে?
কার্টেসী- জাহিদুর রহমান ভাই
Post a Comment