Diabetes /ডায়াবেটিস / বহুমুত্র রোগে রক্তে সুগার এর পরিমান বেড়ে গেলে, তাকে ডায়াবেটিস বলে।
টাইপ ১ ডায়াবেটিস
রক্তে ইন্সুলিনের পরিমান কমে গেলে যে ডায়াবেটিস হয়। জেনেটিক বা বংশগত। সাধারণত বাচ্চাদের হয়। প্যানক্রিয়াসের বিটা সেল থেকে পর্যাপ্ত পরিমাণে ইন্সুলিন তৈরী না করতে পারলে, চিনির পরিমান বেড়ে গেলে ডায়াবেটিস হয়।
টাইপ ২ ডায়াবেটিস
যখন ইন্সুলিন রেসিস্টেন্ট হয়ে রক্তে চিনির পরিমান বেড়ে যায়।
প্রি-ডায়াবেটিস
যখন রক্তে চিনির পরিমান নরমালের চেয়ে বেশি কিন্তু এত বেশি না যে ডায়াবেটিস বলা যায়। রক্তে গ্লুকোজ র্যানডম ৫,৬,,,৬.৯ মিলি মোল /লি, HbA1C ৫,৭,,,৬.৪
জেস্টেশনাল ডায়াবেটিস
প্র্যাগ্নেসি হলে হয়, বাচ্চা ডেলিভারির পর নরমাল হয়ে যায়।
ডায়াবেটিসের লক্ষন:
১) ঘন ঘন পিপাসা পাওয়া
২) বার বার প্রশ্রাব করা ( রাতে ঘুম থেকে উঠে বারে বারে টয়লেট এ যাওয়া)
৩) ক্ষুধা লাগা বাড়ে বাড়ে
৪) শুকিয়ে যাওয়া
৫) প্রশ্রাবে কিটোনস পাওয়া
৬) খুবই দুর্বলতা
৭) মেজাজ খিটখিটে হওয়া, অল্পতেই বিরক্তি প্রকাশ
৮) চোখ এ জ্বালাপোড়া ও ঝাপসা দেখা
৯) বারে বারে ইনফেকশন হওয়া,,,, ইউরিন, মাড়ি, দাঁত, চর্ম,যোনিতে
১০) হাত ও পায়ে অবশ লাগা ও জ্বালাপোড়া অনুভূতি
Blood Glucose levels
- Normal: FBS - ৫.৬ এর নিচে ( মিলি মোল / লি)
- Pre Diabetes: ৫.৬-৬.৯ মিলি মোল / লি
- RBS: ৭ মিলি মোল / লি
HbA1C
- Normal: ৪-৫.৬
- Prediabetes: ৫.৭-৬.৪
- Diabetes: ৬.৫ এর বেশি
ডায়াবেটিসের জটিলতা
১) হার্ট ও কারডিও ভাস্কুলার ডিজিজ
২) স্ট্রোক
৩) চোখ এ গ্লুকোমা, ছানি, কম দেখা, রেটিনোপ্যাথি, অন্ধত্ব
৪) নার্ভ পেরিফেরাল নিউরোপ্যাথি
৫) কিডনি ড্যামেজ / নেফ্রপ্যাথি
৬) হাত, পায়ে জ্বালা পোড়া ও অবশ লাগা, পায়ে আলসার, গ্যাংরিন, ডায়াবেটিস কন্ট্রোল না করলে পা কেটে ফেলতে হয়।
৭) স্কিন: নানা ধরনের ব্যাকটেরিয়াল, ফাঙ্গাল ডিজিজ, চামড়া খসখসে হয়ে যায়।
৮) কানে ইনফেকশন ও কম শোনা, বধিরতা।
- [ডা: মোহাম্মদ আলী, চীফ কনসালট্যান্ট, বিজিএমইএ]
Post a Comment