পহেলা ডিসেম্বর আন্তর্জাতিক এইডস দিবস। ১৯৮১ সালে প্রথম ধরা পড়ার পর থেকে আজ পর্যন্ত প্রায় ৮০ লাখ এইডস রোগী ধরা পড়েছে। তার মধ্যে এই পর্যন্ত মারা গেছেন প্রাত ৩০ লাখ। ১৯৮৯ সালে বিদেশ ফেরত এক পুরুষেরর শরীরে প্রথম এইডস ধরা পড়ে বাংলাদেশে । ২০১৫ সাল পর্যন্ত এইডস আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা প্রায় চার হাজার জন। তার মধ্যে প্রায় ৫০০ জন পরলোকগমন করেছেন।
আসুন এবার জেনে নেই এইডস সম্পর্কে কিছু মজার তথ্য-
১) প্রতি দিন গড়ে ১৫০০ বাচ্চা এইডস এ আক্রান্ত হচ্ছে। তার বেশীর ভাগই হচ্ছে জন্মের সময়।
২) এইচ আই ভি ভাইরাসের ২টা জাত আছে, প্রথম জাত কভার করে সারা দুনিয়া। কিন্তু দ্বিতীয় জাত শুধু আফ্রিকার মধ্যেই সীমাবদ্ধ।
৩) পৃথিবীর সব দেশেই এইডস এর প্রিভ্যালেন্স বাড়লেও কেনিয়া, জিম্বাবুয়ে তে এই হার কমেছে।
৪) এইডস রোগীর দুইটা সিম্পটম সাধারনত সব সময় থাকে। তা হলো – ক্রনিক ডায়৭রিয়া আর ওয়েট লস।
৫) বলা হয়ে থাকে গত ৩০ বছরে এইডস নিয়া যত আলোচনা হয়েছে, ঠিক আগের ৩০ বছর প্লেগ নিয়া সমান আলোচনা হয়েছিল। কিন্তু আজ ভুলেও কেউ এই রোগের নাম উচ্চারন করে না। (প্লেগ ফ্যাক্ট- প্লেগ রোগের জীবানু ইয়ারসিনিয়া এর ইনফেক্টিভ ডোজ সবচেয়ে কম। মাত্র ১ টা ব্যাক্টেরিয়াই যথেষ্ট , যেখানে সাধারন ব্যাক্টেরিয়ার ইনফেক্টিভ ডোজ প্রায় ১০০০০০)।
৬) ১৯৮১ সালের এইডস ধরা পড়লেও ১৯৫৯ সালে মারা যাওয়া কঙ্গো দেশের এক জনের টিস্যু থেকে এইডস এর জীবানু পাওয়া যায়। আমেরিকা তে রবার্ট রেফোর্ড নামের এক ১৯ বছরের যুবক মারা যায় ১৯৬৯ সালে । তার শরীরের টিস্যু তেও পাওয়া যায় এইডস এর জীবানু।
৭) এইডস এর এইচ আই ভি ভাইরাস এমন ভাইরাস যা থেকে ক্যান্সার হইতে পারে।
৮) দক্ষিন আফ্রিকা তে কোনো দাগী আসামী কে শাস্তি স্বরূপ এইডস আক্রান্ত রোগীকে ধর্ষন করানো হয়। ভুগিয়ে মারার এই লোকাল পদ্ধতি কে “স্লো পাংচার” বলা হয়।
লিখেছেন- ডাঃ সাঈদ সুজন
লিখেছেন- ডাঃ সাঈদ সুজন
Post a Comment