ত্বকের একটি অস্বস্তিকর সমস্যা ব্রন। ব্রণ বা একনি ভালগারিস একটি সাধারণ কিন্তু দীর্ঘমেয়াদি ত্বকের রোগ। মুখে ব্রণের অভিজ্ঞতা হয়নি এমন মানুষ পাওয়া দুষ্কর। বিশেষ করে কিশোর-কিশোরীরা মুখের ব্রণ নিয়ে খুবই অস্বস্তিতে থাকে। কিন্তু বেশিরভাগ ক্ষেত্রে তারা চিকিৎসক এর পরামর্শ ছাড়া ফার্মেসি থেকে ওষুধ কিনে খান। এতে হিতে বিপরীত হয়। ব্রণ বেড়ে অনেক সময় মুখে স্থায়ী দাগ পড়ে যায়।
ব্রন হওয়ার মূল কারণ
বয়স, লিঙ্গ, আবহাওয়া, খাদ্যাভ্যাস, লাইফস্টাইল, পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা ইত্যাদি ফেক্টর এই ব্রণ তৈরী পেছনের কারণ হিসেবে কাজ করে।
ব্রন কাদের হয়
ব্রণ সাধারণত বয়সন্ধিকাল থেকে শুরু করে প্রাপ্ত বয়সের মানুষেরও হতে পারে
যেমনঃতেরো থেকে উনিশ বছর বয়স পর্যন্ত। কখনও কখনও তিরিশ বছর বয়সেও এটি দেখা দিতে পারে এবং অনেক বয়স পর্যন্ত স্থায়ী হতে
কী কী কারনে ব্রন হয়
১) ত্বকের অযত্ন
২) হরমোনের পরিবর্তন
৩) অতিরিক্ত জাঙ্ক ফুড
৪) টেনশন থেকেও হয় ব্রণ
৫) কম ঘুম
৬) অতিরিক্ত ঘাম:অত্যধিক ঘাম থেকেও
ব্রণ হলে করনীয়
১) পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকুন এবং নিজের জন্য আলাদা তোয়ালে রাখুন।
২) দিনে দুই-তিনবার হালকা সাবান বা ফেসওয়াশ দিয়ে মুখ ধোবেন।
৩) ব্রণে হাত লাগাবেন না।
৪) তেল ছাড়া অর্থাৎ ওয়াটার বেসড মেকআপ ব্যবহার করবেন।
৫) মাথা খুশকিমুক্ত রাখার চেষ্টা করুন।
৬) রাতে ঠিকমতো ঘুমানোর চেষ্টা করুন।
৭) মানসিক চাপ পরিহার করুন।
৮) প্রচুর পরিমাণে ফল, সবজি খান ও প্রচুর পানি পান করুন।
৯) কোষ্ঠকাঠিন্য থাকলে তা দূর করতে হবে।
ব্রন হলে কী করা যাবে না
১) তেলযুক্ত ক্রিম বা ফেয়ারনেস করিম ব্যবহার ব্যাবহার থেকে বিরত থাকুন
২) রোদে বেরুবেন না, রৌদ্র এড়িয়ে চলুন।
৩) ব্রণে হাত লাগাবেন না। ব্রণ খুঁটবেন না।
৪) মাথায় নারিকেল তেল লাগাবেন না।
ব্রণের চিকিৎসা করানো জরুরি কারন
ব্রণ হলে ডাক্তারের পরামর্শ নেয়া উচিত। কারণ চিকিৎসা না করালে অনেক সময় ব্রণ ত্বকের মারাত্মক ক্ষতি করতে পারে যেমনঃ
১) ত্বকে গর্ত সৃষ্টি হতে পারে।
২) দাগ/স্কার সৃষ্টি হতে পারে।
৩) হাইপার প্রিগমেন্টেশন সৃষ্টি হতে পারে।
৪) এছাড়াও ব্রণ হলে চেহারা খারাপ দেখানোর কারণে অনেকে হতাশাগ্রস্থ হয়ে পড়ে।
চিকিৎসা
১) মেডিসিন
২) হরমোন কন্ট্রোল
৩) কেমিক্যাল পিলিং
ব্রন পুরোপুরি নিরাময় সম্ভব। দেরি না করে একজন ডাঃ এর সাথে পরামর্শ করে চিকিৎসা নিন। প্রয়োজন এ অনলাইন এও চিকিৎসা নিতে পারেন।
লিখেছেন: Dr. Sujan C Paul
Post a Comment