সাড়া দিন রোজা রাখার পর ইফতারে সবাই একটু ভুড়িভোজ দেয়ার চিন্তা করে। কিন্তু খাওয়ার পরই দুই হাত পা আরো দুর্বল হয়ে যায়। ইফতার করে যেন টায়ার্ড আরো বেশী হয়ে যায় সবাই। আসুন জেনে নেই এই ক্লান্তি কোথা থেকে আসে?
অনেক সময় টানা না খেয়ে থাকলে এমনিতেই Body গ্লুকোজ রিজার্ভ ও সঞ্চিত শক্তি ভান্ডার ফুরিয়ে আসে। তাই শেষ বেলায় বডি শুধু BMR মেইন্টেইন করার এনার্জি রাখে। ঠিক তখন আমরা যখন ইফতার করি তখন আমরা শক্তি উৎপাদনের জন্য বেশী করে প্রোটিন জাতীয় খাবার খাই। একটি খাবার যখন আমরা খাই, তা এনার্জি তে রূপান্তরিত হতে গেলে শরীরের নিজস্ব কিছু এনার্জি খরচ হয়। যেমন- ১০০ কিলোক্যালরি এনার্জি বানাতে কার্বোহাইড্রেটে ৭ কিলোক্যালোরি, ফ্যাটে ১২ কিলোক্যালরি এবং প্রোটিনে ৩০ কিলোক্যালরি শরীরের এনার্জি লস হয়। যেটা শরীরের pre- exixting এনার্জি থেকে খরচ হয়। একে “স্পেসিফিক ডাইনামিক একশন” (SDA) বলে। এটা নেগেটিভ ব্যালেন্স অফ এনার্জি assimilation পর্যন্ত চলতে থাকবে।
সুতরাং এনার্জি বানাতে শুন্য উনুন থেকে কিছু এনার্জি গিয়ে আমাদের আরো দুর্বল করে দেয় । আর প্রোটিনে সেই লস সর্বোচ্চ। তাই ইফতারে বেশী করে কার্বোহাইড্রেট খান। দুর্বলতা রোধ করুন।
আবার অতিরিক্ত খাদ্য আমাদের পাকস্থলী তে চলে আসলে আমাদের শরীরের স্প্ল্যাংনিক সার্কুলেশন অনেক বেড়ে যায় । সাথে কমে যায় ব্রেইনে রক্ত সাপ্লাই । তাই ঘুম ঘুম ভাবও হয়।
লিখেছেন- ডাঃ সাঈদ সুজন
إرسال تعليق