শীত আসার সাথে সাথেই শুরু হয়েছে শিশুদের কমন কিছু রোগ। হাসপাতাল আউটডোর, চেম্বার, ইমার্জেন্সিতে মোটামুটি একই কিসিমের রোগী আসে। তাদের মধ্যে সিংহভাগ শিশু ও নবজাতক। রোগের মধ্যে সবচেয়ে বেশী আসে - নিউমোনিয়া, ব্রংকিওলাইটিস, হাঁপানি, ডায়রিয়া ও সর্দি কাশি।
শীতকাল জুড়েই আপনার শিশুকে সুস্থ রাখতে সতর্ক থাকুন। সতর্কতার জন্য যা যা করা যেতে পারে:
১. শিশুকে নরম সুতি কাপড়ে জড়াতে হবে। তার হাত-পায়ে গরম মোজা দিয়ে রাখতে হবে।
২. নবজাতককে শীতের সময় গোসল না করানোই ভালো। তবে নরম কাপড় হালকা কুসুম গরম পানিতে ভিজিয়ে শরীর মুছে দেওয়া যেতে পারে।
৩. এক বছরের বেশি বয়সী শিশুদেরও উলের বা মোটা সুতির গরম কাপড়ে রাখতে হবে। তবে বাচ্চার শরীর ঘেমে যায়, এমন কাপড় যেন না হয়।
৪. একটু বড় শিশুকে অবশ্য গোসল করাতে হবে, নইলে চর্মরোগ হওয়ার আশঙ্কা থাকে। তবে প্রতিদিন না করিয়ে দুই দিনে একবার গোসল করালে ভালো হয়। গোসল করালে শরীর ঝরঝরে হবে, শিশুর আরাম লাগবে।
৫. গোসলের পর ভালো লোশন বা ক্রিম লাগিয়ে দিতে হবে। গোসলের সময় চুল টেনে চুলের গোড়ার ময়লা পরিষ্কার করে দিতে হবে। এতে মাথার ত্বক সুস্থ থাকবে।
৬. শীতে শিশুরা অতিরিক্ত ভিটামিন সি পাবে এমন খাবার দিতে হবে।৭. বাচ্চাদের নাক পরিষ্কার রাখুন। কারন নাক বন্ধ হলে সেখান থেকে কানে ইনফেকশন হয়।
৮. শ্বাসের সমস্যা হলে জরুরী ভিত্তিতে হাসপাতালে যোগাযোগ করবেন।
লিখেছেন- ডাঃ সাঈদ সুজন
إرسال تعليق