আমাদের দেহের নিজস্ব রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা আছে এবং ছোট ছোটসংক্রমণ গুলো শরীরই নিরাময় করে ফেলে। কিন্তু সমস্যা হয় যখন দেহের নিজস্ব ব্যবস্থা দুর্বল থাকে অথবা সংক্রমণের মাত্রা বেশী হলে। এন্টিবায়োটিক উপরোক্ত বিষয় দুটি মাথায় রেখে প্রেস্ক্রাইব করা হয়।
যদি এন্টিবায়োটিক না দিয়ে রোগ সাড়ানো যায় তবে তা সর্বোত্তম। কেননা এই এন্টিবায়োটিক শরীরে যে এন্টিবডি তৈরি করে তা শরীরকে অনেক দুর্বল করে দেয়। আর তাই সক্ষমতা অনুযায়ী এন্টিবায়োটিক দেয়া হয়। তাই নন ইনফেকিটিভ রোগে এন্টিবায়োটিক ইউজ করা শরীরের ক্ষতির কারন।
সাধারন জ্বরের জন্য আমরা প্যারাসিটামল জাতীয় ঔষধ খাই, জ্বর ভাল হয়ে গেলে আর না খেলেও হয় কিন্তু যখন কোন ইনফেকশনের জন্য এএন্টিবায়োটিক ঔষধ খেতে হয় তা চিকিৎসকের নির্দেশনা মত। নির্দিষ্ট মেয়াদের ফুল কোর্সই খেতে হবে অন্যথায় আবার আক্রান্ত হওয়ার বা পরবর্তীতে ঐ ঔষধ আর কাজ না করার সম্ভাবনা থাকে (রেজিস্টেন্স এর জন্য)।
এসব এন্টিবায়োটিক শরীরের মধ্যে বিভিন্ন জীবানূ কে নির্মুল করতে টাইম ভ্যারিয়েশন হয়। এই টাইম ভ্যারিয়েশন এর জন্য ডোজ মাত্রা ও ডিউরেশন পার্থক্য হয়।
যেমন গনোরিয়া রোগের জন্য সিংগেল ডোজ যথেষ্ট, সেখানে টিবি (যক্ষা) রোগের জন্য কমপক্ষে ৬ মাস এন্টিবায়োটিক খেতে হয়।
লিখেছেন- ডাঃ সাঈদ সুজন
লিখেছেন- ডাঃ সাঈদ সুজন
إرسال تعليق