লেবুতে যে পরিমাণ ভিটামিন থাকে তার চেয়ে প্রায় ৫-১০ গুণ বেশি থাকে লেবুর খোসায়। ১০০ গ্রাম লেবুর খোসায় থাকে প্রায় ১৩৪ এমজি ক্যালসিয়াম, ১৬০ এমজি পটাশিয়াম, ১২৯ এমজি ভিটামিন সি এবং ১০.৬ গ্রাম ফাইবার। ফলে চিকিৎসকরা লেবুর খোসা খেতে উৎসাহিত করে থাকেন।
আরো কিছু তথ্য
★ হার্টের উন্নতি
লেবুর খোসার পলিফেনল উপাদান শরীরে খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমায়। অন্যদিকে লেবুর পটাশিয়াম ব্লাড প্রেসারকে নিয়ন্ত্রণে রাখে। ফলে হার্টের রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা কমে।
★ রক্ত সরবরাহের উন্নতি
লেবুর খোসা খেলে সারা শরীরে রক্ত সরবারহ বাড়তে শুরু করে। ফলে দেহের প্রতিটি কোণায় অক্সিজেন সমৃদ্ধ রক্ত পৌঁছে শরীরের কর্মক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে। এতে সব ধরনের রোগই দূর হয়।
★ লিভার ফাংশনে উন্নতি
নিয়মিত লেবুর খোসা খেলে শরীরে অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের পরিমাণ এত মাত্রায় বেড়ে যায় যে, লিভারের ভেতরে জমে থাকা টক্সিক উপাদান বেরিয়ে যেতে শুরু করে। ফলে এই গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গের কর্মক্ষমতা বাড়তে থাকে।
★ স্ট্রেস কমে
লেবুর খোসায় উপস্থিত সাইট্রাস বায়ো-ফ্লেভোনয়েড শরীরের ভেতরে প্রবেশ করার পর অক্সিডেটিভ স্ট্রেস কমতে শুরু করে। ফলে মন, মস্তিষ্ক এবং শরীর চাঙ্গা হয়ে ওঠে।
★ হাড় শক্ত হয়
প্রচুর ভিটামিন সি এবং ক্যালসিয়াম থাকায় ধীরে ধীরে হাড়ের স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটতে শুরু করে। সেই সঙ্গে ইনফ্লেমেটরি পলিআর্থ্রাইটিস, অস্টিওপরোসিস এবং রিউমাটয়েড আথ্রাইটিসের মতো রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কাও কমে।
★ ওজন কমে
পেকটিন প্রচুর মাত্রায় থাকায় ওজন কমার প্রক্রিয়া ত্বরান্বিত হয়। কারণ এ উপাদান শরীরে থাকা অতিরিক্ত চর্বিকে ঝরিয়ে ফেলতে বিশেষভাবে সাহায্য করে।
★ ত্বকের সৌন্দর্য
লেবুর খোসায় থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ত্বকের নিচে জমে থাকা টক্সিক উপাদান বের করে দেয়। ফলে মুখের বয়স কমতে শুরু করে। সেই সঙ্গে বলিরেখা কমে ত্বক টানটান হয়ে ওঠে।
[সংগৃহীত]
إرسال تعليق