জ্বর
প্রথমে একটা কথা মনে রাখা দরকার, জ্বর নিজে কোনো রোগ নয়। অন্য অসুখের লক্ষণ। জ্বর হলে নিম্নলিখিত ঘরোয়া টিপস ফলো করতে পারেন:
- গায়ের চাদর সরিয়ে নিন, শিশুর জর হলে তার সব জামাকাপড় খুলে দিবেন। এতে জ্বর কমতে সাহায্য হয়।খেয়াল রাখবেন একদম ছোট বাচ্চাদের বুকে, পিঠে যেন ঠান্ডা না লাগে।
- জানালা দরজা খুলে দিন যাতে ঘরে বাতাস আসতে পারে। এ সময় খোলা বাতাস দরকার।
- প্রচুর পরিমাণে ফলের রস পান করুন। সাধারণত কোনো ফল না পাওয়া গেলে লেবুর শরবত পান করতে পারেন। পর্যাপ্ত পানি পান করুন।
- জ্বর বাড়লে পানি ভেজানো সুতির কাপড় দিয়ে শরীর মুছে দিন। মাথায় পানি দিন।
- অমৃতারিষ্ট গ্রুপের সিরাপ এন্টিফেভ (হামদর্দ কোম্পানির) চার চা-চামচ করে রোজ দুইবার খাবেন (বড়দের জন্য), সাথে ট্যাবলেট হারবোট্রিল (ইবনে সিনা কোম্পানির) 1+০+1 বার খাবার পর খাবেন। (৩ দিন এর মধ্যে অবস্থার উন্নতি না হলে নিকটস্থ হাসপাতালে যোগাযোগ করুন)
গলা ব্যথা
গলা ব্যথা হলে নিম্নলিখিত টিপস ফলো করুন:
- গরম একগ্লাস পানিতে 1 চা চামচ লবণ নিয়ে দিনে 2-3 বার গরগরা / গার্গল করুন । এটা খুবই আটপৌরে চিকিৎসা, কিন্তু এটা খুব ভালো রেজাল্ট আসে।
- সম পরিমাণে মধু আর লেবুর রস মিশিয়ে ফেলুন। এবার 30 মিনিট অন্তর 1 চা-চামচ খেলে গলা ব্যথায় আরাম পাবেন।
- ঠান্ডা পানি একদম খাবেন না। গরম পানি খান।
- ক্যাপসুল - নিমুলেন্ট (হামদর্দ কোম্পানির) অথবা ক্যাপসুল ইকোল্ড (ইবনে সিনা কোম্পানির ) দুইটি করে ক্যাপসুল প্রতিদিন সকালে ও রাতে খাবার পর খাবেন (৩ দিন এর মধ্যে অবস্থার উন্নতি না হলে নিকটস্থ হাসপাতালে যোগাযোগ করুন)।
- সাথে জ্বরের চিকিৎসার জন্য দেওয়া ট্যাবলেট হারবোট্রিল জ্বরের সাথে সাথে ব্যথা কমাতে সাহায্য করবে।
কাশি
জ্বরের মতো এখানেও একটি কথা বলতে হয় যে কাশি কোনো অসুখ নয় এটা অন্য কোন রোগের লক্ষণ মাত্র। নিম্নলিখিত ঘরোয়া টিপস ও ঔষুধ আপনাকে হেল্প করবে।
- দিনে অন্তত চারবার গরম পানির ভাপ নিন।
- পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি ও লেবুর শরবত খান।
- সিরাপ বাসক (একমি বা হামদর্দ কোম্পানির) অথবা স্কয়ার কোম্পানির সিরাপ এডোভাস, 3 চা চামচ করে রোজ দুইবার খাবেন।
- বাসায় বাসক গাছ থাকলে তার পাতার রস বড়দের জন্য 2 থেকে 3 চা চামচ + 1 চা-চামচ মধু মিশিয়ে প্রতিদিন দুই থেকে তিনবার খেতে পারেন, তাহলে আর এই সিরাপটি কিনতে হবে না। (৩ দিন এর মধ্যে অবস্থার উন্নতি না হলে নিকটস্থ হাসপাতালে যোগাযোগ করুন)।
সর্দি
- পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি ও তরল পান করতে হবে।
- ভিটামিন সি যুক্ত ফল বেশি খাবেন, লেবুতে প্রচুর ভিটামিন-সি আছে তাই লেবুর শরবত খুব উপকার করবে।
- কাশির সময় যেভাবে পানির ভাপ নিতে বলেছিলাম তেমনি ভাবে দিনে অন্তত চারবার গরম পানির ভাপ নিন।
- ক্যাপসুল: লিভোলাইট( স্কয়ার এর ন্যাচারাল মেডিসিন ) হেল্প করতে পারে। ১+১+১ বার । ( ৩ দিন এর মধ্যে অবস্থার উন্নতি না হলে নিকটস্থ হাসপাতালে যোগাযোগ করুন )।
- তুলসী পাতা সহজলভ্য হলে 2 চা চামচ তুলসী পাতার রস সাথে 1 চা-চামচ মধু দিয়ে সকালে ও রাতে খেতে পারেন।
বিশেষ দ্রষ্টব্য
- এখানে বর্ণিত ওষুধ এবং খাবার পরিমাণ বড়দের জন্য।
- ডায়াবেটিস রোগীরা মধু খাবেন না।
- কারো কারো ক্ষেত্রে লেবুর শরবত হাইপারএসিডিটি তৈরি করে , এ ব্যাপারে সাবধান থাকবেন।
- এগুলো সব প্রাথমিক চিকিৎসা, তিনদিনের মধ্যেই অবস্থার উন্নতি না হলে নিকটস্থ সরকারি হাসপাতালে যোগাযোগ করবেন। অবস্থার উন্নতি হলে সাতদিন পর্যন্ত এই চিকিৎসা চালিয়ে যাবেন।
إرسال تعليق