হাসপাতাল থেকে আনার পরপর সবাই শুধু বাচ্চাটার কথা জিজ্ঞেস করবেন না, সাথে বাচ্চার মার কাছেও জানতে চান সে কেমন আছে, তার কেমন লাগছে।
বাচ্চাটা দুধ পাচ্ছে কিনা, ঠিক মতো পটি করছে কিনা এটা জানার পাশাপাশি মাকেও জিজ্ঞেস করেন তার কিছু খেতে মন চায় কিনা।
নতুন মাকে একের পর এক বাচ্চা কিভাবে মানুষ করতে হবে, কিভাবে পালতে হবে এসব না শিখিয়ে তাকে একটু ঘুমাতে, বাচ্চাটাকে একটু পারলে নিজে রাখুন যেন তার মা একটু রেস্ট পায়।
নতুন বাচ্চা দেখতে আসলে দুই হাত ভরে শুধু বাচ্চার জন্য খেলনা আর পোশাক না এনে মায়ের জন্যও কিছু আনুন, কারন এতো বড় যুদ্ধটা তো সেই জয়ী হয়ে এসেছে তাইনা?
মা কি কি খেলে বাচ্চা মোটা হবে, ফর্সা হবে, বুদ্ধিমান হবে এসব পরামর্শ না দিয়ে তাকে বরং তার পছন্দের খাবারগুলো এনে দিন।
মনে রাখবেন- বাচ্চা জন্মদান কোন অন্যায় বা পাপ না যে একসাথে সবাই তাকে জ্ঞান দেবেন, বাচ্চা সামান্য অসুস্থ হলে সবাই মিলে তাকে ব্লেম করবেন, তাকে বারবার প্রমাণ করবেন সে খারাপ মা।
বাচ্চা জন্মদান পৃথিবীর সবচেয়ে কঠিন কাজগুলোর একটা। এই কাজের জন্য তাকে পুরষ্কার দিন, ভালোবাসা দিন, অভিনন্দন জানান।
একদিনের ভেতরেই তাকে পার্ফেক্ট মা বানিয়ে ফেলার ট্রেইনিং দেয়া শুরু করবেন না, কারন একটু কম ট্রেইনিং পেলেও বাচ্চা পালনে তার কোন সমস্যা হবেনা। কারন অনেক শিশুই তো মা হারা হয়ে জন্ম নেয়, কই তারা তো মারা যায়না।
রাস্তায় পাগলিনী হয়ে বাচ্চা কোলে নিয়ে ঘুরে যে নারী, সেও কিন্তু কোন ট্রেইনিং ছাড়া বাচ্চা বড় করে তোলে একদিন। তাতে কিন্তু সেই বাচ্চাটাও মারা যায়না।
إرسال تعليق