হাতের খুব পরিচিত এক চর্মরোগ হল একজিমা। একজিমা হলে সাধারণত ত্বকে যা হয়:
- ত্বক বেশ শুষ্ক হয়ে ওঠে।
- সে সাথে ত্বক হয়ে যায় আঁশটে এবং লালচে।
- একজিমার কারণে চুলকানি হয় যার ফলে ত্বককে ব্রণ আক্রান্ত মনে হয়।
- অনেক সময় দানাদার গোটা বড় ঘামাচির ন্যায় একজিমা হয়ে থাকে।
দেহের নানা অংশই একজিমা আক্রান্ত হতে পারে। তার মাঝে হাতের একজিমার সমস্যাটি বেশ দেখা যায়।
কাদের বেশি হয়?
- সাধারণত যারা খুব বেশি সময় সাবান, সোডা জাতীয় দ্রব্য ঘাঁটেন অর্থাৎ যারা পানি নিয়ে অতিরিক্ত সময় কাটান।
- আবার হাতে যারা আংটি, পিতলের চুড়ি, ব্রেসলেট ইত্যাদি পরে থাকেন তাদের একজিমা হবার প্রবণতা বেশি থাকে।
- তবে অনেকক্ষেত্রে নির্দিষ্ট খাবার খাওয়ার ফলে অনেকের একজিমা হয়ে থাকে। এ যেমন অনেকে ডিম খেতে পারে না। আবার কেউবা বাদাম খেলে ভয়াবহ এলার্জি হয়।
লক্ষণসমূহ
- শুরুর দিকে আঙুল খুব শুষ্ক হয়ে যায়।
- একই সাথে আঙুল লাল হয়ে চামড়া ফেটে যায়।
- হাতের চামড়া ভেদ করে ফোসকা ওঠে।
- অনেক ক্ষেত্রে রোগের মাত্রা বেশি হলে ত্বক ফেটে গভীর ক্ষত সৃষ্টি হয়ে থাকে।
একজিমা রোগীর জন্য পরামর্শ
- প্রয়োজনের অতিরিক্ত হাত ধোয়ার অভ্যাস থাকলে তা বদলে ফেলুন।
- হাত ধোয়ার ক্ষেত্রে ক্ষারযুক্ত সাবান যত কম ব্যবহার করবেন ততই মঙ্গল।
- আর যদি হাত ধুতেই হয় তবে কুসুম কুসুম গরম পানিতে হাত ধুবেন।
- হাতে এলার্জি মাত্রাতিরিক্ত হয়ে গেলে চুলে শ্যাম্পু দিতে হাতে গ্লাভস পরে নিন।
- থালা বাসন ধোয়া বা কাপড় ধোয়া কাজে পাতলা প্লাস্টিক বা রাবারের গ্লাভস ব্যবহার করুন।
- হাতে জ্বালাপোড়া সৃষ্টি করতে পারে এমন কাজ থেকে বিরত থাকুন।
ছোটখাটো সমস্যা ভেবে হাতের একজিমাকে এড়িয়ে যাবেন না। ছোটখাটো সমস্যাই পরবর্তীতে বড় রোগের সূত্রপাত ঘটাতে পারে। এমন হলে একজন ডাঃ এর সাথে পরামর্শ করে চিকিৎসা নিন।
إرسال تعليق