অনেকেই প্রশ্ন করেন, গর্ভাবস্থায় আল্ট্রাসনোগ্রাফ করলে কি গর্ভের শিশুর কোনো ক্ষতি হয়, কতবার আল্ট্রাসনোগ্রাফ করা নিরাপদ?
প্রথমেই জেনে রাখা ভালো, আল্ট্রাসনোগ্রাফ গর্ভের শিশুর কোনো ধরনের ক্ষতি করে না। অনেকেই মনে করেন, আল্ট্রাসনোগ্রাফ থেকে কোনো তেজস্ক্রিয় রশ্মি শিশুর ক্ষতি করে। কিন্তু আসলে এটা এক্স-রে নয়। আল্ট্রাসনোগ্রাম হচ্ছে অতি উচ্চ কম্পনসম্পন্ন শব্দ তরঙ্গ, যা সাধারণ শ্রবণ ক্ষমতার বাইরে।
একজন নারী সঠিকভাবে গর্ভাবস্থার প্রতিটি ধাপ পার করছেন কিনা, গর্ভের শিশু সুস্থ আছে কিনা, এই সব কিছুই জানা সম্ভব আল্ট্রাসনোগ্রাফ করার মাধ্যমে। এক্ষেত্রে যদি গর্ভের শিশু বা মায়ের কোনো বড় ধরনের শারীরিক সমস্যা দেখা দেয় তাও বোঝা সম্ভব। আর সেই অনুযায়ী ব্যবস্থাও নেয়া যায়।
কতবার আল্ট্রাসনোগ্রাফ করা যায় সেই বিষয়ে এক বিশেষজ্ঞ বলেন, যেহেতু এর ক্ষতিকারক দিক নেই তাই যতবার ইচ্ছা ততবার করা যায়। এটা নিয়ে চিন্তার কিছুই নেই। তবে এই পরীক্ষা কিছুটা ব্যয়বহুল অনেকের জন্য। এছাড়া মা এবং শিশুর সব সিমটম যদি স্বাভাবিক থাকে তবে দুই থেকে তিনবারের বেশি আল্ট্রাসনোগ্রাফ করার প্রয়োজন নেই।
সেক্ষেত্রে গর্ভের সময়কাল ও প্রসবের সঠিক সময় বের করার জন্য সন্তান ধারণের ৭/৮ সপ্তাহের মধ্যে প্রথমবার আল্ট্রাসনোগ্রাফ করা হয়।
১৬ থেকে ২০ সপ্তাহের মধ্যে দ্বিতীয়বার করা হয়। এসময় আল্ট্রাসনোগ্রাফ করলে বাচ্চার জন্মগত কোনো ত্রুটি আছে কি না তা জানা যায়। গর্ভের সন্তান ছেলে না মেয়ে এটাও জানা যায়।
বাচ্চার ওজন বাড়ছে কি না জানতে তৃতীয়বার ৩০-৩৮ সপ্তাহে আল্ট্রাসনোগ্রাফ করার পরামর্শ দেয়া হয়। জন্মের সময় বাচ্চার পজিশনসহ অন্য বিষয়গুলো সব ঠিকভাবে আছে কি না জানা যায়। গর্ভাবস্থায় একজন নারীর সব সময় পরিবার, কর্মক্ষেত্রসহ সবার সব ধরনের সহযোগিতা, পাশে থাকা, ভালোবাসা ও যত্ন নেয়া প্রয়োজন।
আরো পড়ুন: গর্ভবতী মায়েদের ঔষধ সেবন
إرسال تعليق